খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গ্যারিসন (লাল পিলার)সংলগ্ন মাত্তমডাঙ্গায় গত ২৩ শে মে রবিবার খাদিজা আক্তার রুনু(৩৮) নামে এক গৃহবধূ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রুনুর মা আমেনা বেগম বাদি হয়ে রুনুর স্বামি এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুন কে আসামি করে গত ২৪ মে সোমবার খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে মামল নং ১১,

মামলার আসামি নিহতের স্বামি এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুন (৪২) কে ২৬ মে বুধবার গভীর রাতে যশোর জেলার অভয়নগর থানার ঘোড়াদাইড় এলাকা থেকে আটক করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ ।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান কেএমপি’র ডিসি নর্থ মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন এর দিক নির্দেশনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) এডিসি মোঃ শাহাবুদ্দিন , সহকারী পুলিশ কমিশনার দৌলতপুর জোন অমিত কুমার বর্মন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে যশোর জেলার অভয়নগর থানার ঘোড়াদাইড় থেকে আটক করা হয় ।

আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা সিএম এম কোর্টের বিঞ্জ ম্যাজিষ্টেট তরিকুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে, ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় নিজ স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করে ।

উল্লেখ্য মাত্তমডাঙ্গার মৃত শহীদের কন্যা খাদিজা আক্তার রুনু (৩৮) এর সাথে ডুমুরিয়া এলাকার মামুনের সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়, তাদের কোন সন্তানাদি ছিল না , খানাজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা এলাকার মিরাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো।

গৃহবধূ রুনু গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতেন এবং তার স্বামী মামুন সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নিবার্হ করতেন। রুনুর মা আমেনা বেগম ২৩ মে রবিবার দুপুরের পর রুনুর এবং তার স্বামী মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও কেউ ফোন ধরেনি। পরে দুই জনের মোবাইল বন্ধ পেয়ে সন্ধার দিকে স্থানিয় ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসানের কাছে যায়।

রাত ১০টায় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে রুনুর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে রুনুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে । পরে ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসান থানা পুলিশকে খবর দেয়।